ফরিদপুরে মহাসড়কে থ্রি হুইলার বন্ধের দাবিতে ৩৮ ঘণ্টার পরিবহন ধর্মঘট অব্যাহত আছে। এতে করে বরিশাল, পটুয়াখালী, ঝালকাঠি, বরগুনা ও পিরোজপুর রুটের যাত্রীরা ভোগান্তিতে পড়েছেন। বাস চলাচল বন্ধ থাকায় ঢাকামুখী যাত্রীদের বাড়তি চাপ বেড়েছে বরিশাল নদী বন্দরে।
শুক্রবার (১১ নভেম্বর) সকাল ৬টা থেকে শুরু হওয়া এই পরিবহন ধর্মঘট আজ রাত ৮টা পর্যন্ত চলবে।
ধর্মঘটে আঞ্চলিক ও দূরপাল্লার যাত্রীবাহী বাস ও মিনিবাসের পাশাপাশি সরকারি পরিবহন বিআরটিসির (বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশন) বাস চলাচলও বন্ধ আছে।
সাইদুল সিকদার নামে একজন যাত্রী গণমাধ্যমেকে বলেন, ‘ঢাকা যাওয়ার জন্য বাসা থেকে বিদায় নিয়ে এসেছিলাম। কিন্তু এসে জানতে পারি বাস চলবে না। তাই ফিরে যাচ্ছি। জরুরি কাজের জন্য আমার ঢাকা যাওয়া দরকার। ’
এদিকে বরিশাল নদী বন্দরে শুক্রবার বন্ধের দিনও যাত্রীদের অতিরিক্ত ভিড় দেখা গেছে। ঘাটে সুন্দরবন-১৮, পারাবত-১৮, শাহরুখ-২ এই তিনটি লঞ্চ থাকলেও যাত্রী চাপ বাড়ায় আরও একটি লঞ্চ প্রস্তুত রাখা হয়েছে। কেবিন না পাওয়ায় অকেকেই চাদর বিছিয়ে ডেকে স্থান নিয়েছেন।
বরিশাল বাস মালিক গ্রুপের সভাপতি গোলাম মাশরেক বাবলু বলেন, ফরিদপুরের বাস মালিক-শ্রমিকরা শুক্রবার ও শনিবার ৩৮ ঘণ্টার পরিবহন ধর্মঘট ডেকেছে। বরিশালসহ দক্ষিণাঞ্চল থেকে ঢাকা রুটের বাসকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা মোড় অতিক্রম করতে হয়। পরিবহন ধর্মঘট থাকায় ওই জেলার সড়কপথে বাস চলাচল করতে দিচ্ছেন না ফরিদপুরের পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা। তাই দক্ষিণাঞ্চলের সব জেলা থেকে রাজধানীমুখী যাত্রীবাহী বাস চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।